সুনামগঞ্জে সরকারি মহিলা কলেজের আবাসিক হোস্টেল থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ইতি রানি বৈষ্ণবের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতি সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বাবনগাঁও গ্রামের প্রতাপ চন্দ্র বৈষ্ণবের মেয়ে।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে হোস্টেলের বাথরুম থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুক আলী।
মাসুক আলী বলেন, ‘আমরা দরজা খুলে বাথরুমের ভেতরে মেয়েটিকে হাঁটু মোড়া অবস্থায় পেয়েছি। গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল এবং ওড়নার ওপরের অংশ বাথরুমের এক পাশের লোহার গ্রিলের সঙ্গে বাঁধা ছিল। লাশের ময়নাতদন্তের পরই বিস্তারিত জানা যাবে।’
জানা গেছে, ইতি এবার কলেজে একাদশ (বিজ্ঞান) শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ১৫ দিন আগে সে কলেজের আবাসিক হোস্টেলে ওঠে। হোস্টেলের তৃতীয় তলার ১১ নম্বর কক্ষে আরও চারজনের সঙ্গে থাকত সে।
ওই কক্ষের দুই শিক্ষার্থী জানায়, শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে দুপুরের খাবার খেতে ইতির খোঁজ করে তারা। এ সময় তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও সে ফোন ধরেনি। একপর্যায়ে তৃতীয় তলার পূর্ব দিকের শৌচাগারে ইতির মুঠোফোনের শব্দ শুনতে পায় তারা। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় দরজার ওপরের অংশ দিয়ে ভেতরে ইতির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তারা।
ইতির সহপাঠীরা জানায়, ইতি হোস্টেলে ওঠার পর তিন দিন থেকে আবার বাড়িতে চলে যায়। গত বুধবার তার বাবা ও বড় ভাই আবার এনে হোস্টেলে রেখে যায়। ইতি হোস্টেলে থাকতে চায়নি বলে জানায় তারা। সে কারও সঙ্গে তেমন মেলামেশা করত না বলেও জানায়।
কলেজ হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কীভাবে কী হয়েছে বুঝতে পারছি না। ছাত্রীরা বলার পর আমিই পুলিশকে খবর দিয়ে এনেছি। মেয়েটির পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে।’
পাঠকের মতামত